মুক্তার উজ্জ্বল আবেশ ছড়ানো শুভ্রতা
নিগূঢ় ঝর্ণার কলকল ধ্বনির মতো নৈসর্গিক আবহে নিমজ্জমান যে হাসি।
জীবনের জটিল সমীকরণ, মরুভূমির বুকে খা খা করা মরুত্তাপ,
নিষ্পেষিত হাহাকারে দগ্ধ হৃদয়, সাপের দংশনে মৃতপ্রায় নিস্তেজ নীলাভ মুখটিও
মুহূর্তেই সবুজ-সজীব-সরবতা ফিরে পায় সে হাসিতে।
এ এমনই এক হাসি,
যার কাছে সম্রাট শাহজাহানের তাজমহলও বড় বেশি মলিন মনে হয়।
এ এমনই এক বিরল কারুকার্যখচিত মুখশ্রী
যার কাছে হেরে গেছে নাটোরের বনলতা, শ্রাবস্তীর কারুকার্য, কান্তজীর নকশা।
হাজার বছর ধরে প্রতিক্ষা করে যেতে রাজি উন্মুখ হয়ে থাকা সহস্র অতৃপ্ত হৃদয়।
অন্ধ রাতের সুদূরের শুক তারার মতো, ঘন জঙ্গলের ভেতরে মিট মিট করে জ্বলা
জোনাকির মতো, বাঁশঝাড়ের কচি পাতার ফাঁকে উঁকি দেয়া জোৎস্নার মতো
চির আকাঙ্খিত এ দুচোখ।
যেখানে লুকিয়ে আছে অজস্র কবির কবিতা-তাল-ছন্দ- লয়।
যেখানে হারিয়ে গেছে নাম না জানা কত স্বপ্ন-কল্পনা-বিরহগাঁথার প্রলয়।
সে রহস্যেঘেরা নয়নদুটো রহস্যেই থাক বারমুডা ট্রায়াঙ্গেলের মতো।